📌সালাত মানে কি? মুসল্লি কে বা কারা? 📌সালাতে দাঈেমুন কি? আল কুরআনের আয়াত অনুধাবনে-

আল কোরআনে "সালাহ" (الصَّلَاةُ) শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে, যার মূলধাতু হলো "ص ل و" (সা-লা-ওয়া)। এর অর্থ সংযোগ স্থাপন, ঘনিষ্ঠতা, মনোযোগ নিবদ্ধ করা, অনুগত হওয়া ইত্যাদি। কোরআনের আলোকে সালাতের বিভিন্ন অর্থ ও তাৎপর্য নিচে উপস্থাপন করা হলো:

১. সালাত মানে পাপ ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখা:

"সালাত অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।" (সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪৫)

২. সালাত মানে আল্লাহকে স্মরণে রাখা:

  • "নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, আমার কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং তুমি আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণে সালাত কায়েম করো।" (সূরা ত্বাহা ২০:১৪)

  • "আর অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড় এবং তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন।" (সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪৫)

  • "হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও।" (সূরা আল-জুমুআ ৬২:৯)

  • "তোমরা যখন সালাত শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে এবং শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করো।" (সূরা আন-নিসা ৪:১০৩) 

  • আর যে দয়াময়ের যিকির (স্মরণ/উপদেশ) থেকে বিরত থাকে (অস্পষ্ট রাখে) আমরা তার জন্য শয়তান নিযুক্ত করে দিই। তখন সে তার জন্য সহচর-সূরা আয যুখরুফ ৪৩:১৩৬

3. সালাত মানে সার্বক্ষণিক আল্লাহর স্মরণ ও কুরআন পাঠে যুক্ত থাকা

📖 যখন তোমরা সালাত শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে এবং শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করো  সূরা আন-নিসা ৪:১০৩

📖আর যে দয়াময়ের যিকির (স্মরণ/উপদেশ) থেকে বিরত থাকে (অস্পষ্ট রাখে) আমরা তার জন্য শয়তান নিযুক্ত করে দিই। তখন সে তার জন্য সহচর-সূরা আয যুখরুফ ৪৩:১৩৬

📖 আর তুমি তাদের কাছে তার সংবাদ পাঠ করো, যাকে আমরা আমাদের নিদর্শনসমূহ দিয়েছি। এরপর সে সেটা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং শয়তান তাকে অনুসারী বানিয়েছিল আর সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল-আল-আরাফ ৭:১৭৫

🔹 এখানে বোঝানো হয়েছে, সালাত শুধু নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ পড়ার নাম নয়, বরং সার্বক্ষণিক আল্লাহর স্মরণে থাকা এবং অহীর নির্দেশনা মেনে চলা।

4. সালাত মানে রবের কাছে সাহায্য চাওয়া (ধৈর্য ও সংকট মোকাবিলার শক্তি অর্জন):

  • "হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা আল-বাকারা ২:১৫৩)

  • "আর ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। তবে তা বিনয়ী ব্যতীত অন্যদের জন্য কঠিন।" (সূরা আল-বাকারা ২:৪৫)

  • "তুমি তাদেরকে দেখবে, তারা রুকুকারী, সিজদাকারী অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি সন্ধান করছে।" (সূরা আল ফাতহ ৪৮:২৯)

5. সালাত মানে দুআ- আল্লাহকে ডাকা:

  • "আর তুমি তাদের মধ্য থেকে মারা গেছে এমন কারো ওপর কখনও সলাত কোরো না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়াবে না। নিশ্চয়ই তারা আল্লাহর ও তাঁর রসূলের সাথে কুফর করেছে এবং তারা ফাসিক অবস্থায় মারা গিয়েছে" (সূরা আত-তাওবা ৯:৮৪)

  • "তুমি তাদের জন্য দুআ করো; তোমার দুআ তাদের জন্য শান্তির কারণ হবে।" (সূরা আত-তাওবা ৯:১০৩)

  • "বলো! তোমরা ‘আল্লাহ’ ডাক অথবা ‘রহমান’ ডাক, যেভাবেই তোমরা ডাক, তবে তাঁর জন্যই সুন্দর নামসমূহ।" (সূরা বনি ইসরাঈল ১৭:১১০)

6. সালাত মানে অহীর অনুশীলনে সংযোগ স্থাপন (connectivity)/ অহীর মাধ্যমে আল্লাহর পথনির্দেশনা গ্রহণ করা:

  • "তিনিই, যিনি তোমাদের প্রতি সালাত করেন এবং তাঁর মালাকরাও, যেন তিনি তোমাদেরকে অন্ধকারসমূহ থেকে আলোর দিকে বের করতে পারেন।" (সূরা আল-আহযাব ৩৩:৪৩)

  • "নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর মালাকরা নবীর প্রতি সালাত করেন। ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা তার প্রতি সালাত করো এবং সালাম করো।" (সূরা আল-আহযাব ৩৩:৫৬)

  • "তিনিই তোমাদের প্রতি স্পষ্ট নিদর্শন প্রেরণ করেন, যাতে তোমরা সঠিক পথে চলতে পারো।" (সূরা আল-হাদীদ ৫৭:৯) (2:38)

  • আর আমরা তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা আমাদের নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করত। এবং আমরা তাদের প্রতি ভালো কাজ করার ও সলাত প্রতিষ্ঠা করার এবং যাকাত আদায় করার ব্যাপারে ওহী করেছিলাম। আর তারা ছিল আমাদের উদ্দেশ্যে ইবাদতকারী- সূরা আল আম্বিয়া 21:73

  • সুতরাং যা অহী করা হচ্ছে, তা শোনো। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, আমার কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং তুমি আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণে সালাত কায়েম করো।” সূরা ত্বাহা ২০:১৩-১৪

7. সালাত মানে কুরআন পাঠ ও অহীর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা:

📖 সূরা আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪২-৪৪

“তারা জাহান্নামবাসীদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘কি কারণে তোমরা জাহান্নামে পড়েছ?’ তারা বলবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না এবং আমরা অভাবীদের আহার দিতাম না। আমরা অসার কাজে লিপ্ত থাকতাম এবং কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।’”

🔹 এখানে দেখা যাচ্ছে, সালাত কেবল নামাজ আদায়ের বিষয় নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অভাবীদের সাহায্য এবং অহীর শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন করার ব্যাপারও এর অন্তর্ভুক্ত।

📖 সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪৫
“তুমি কিতাব থেকে যা তোমার প্রতি অহী করা হয়েছে তা তিলাওয়াত করো এবং সালাত কায়েম করো। নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ, আর তোমরা যা করো, আল্লাহ তা জানেন।”

🔹 এই আয়াতে সালাত ও কুরআনের মধ্যে গভীর সংযোগ দেখানো হয়েছে। সালাত মানে কেবল নামাজ নয়, বরং অহীর (কুরআনের) শিক্ষা অনুযায়ী চলা।

8. সালাত মানে কুরআন তথা অহীর চর্চা ও আত্মশুদ্ধি করা

📖 সূরা ফাতির ৩৫:২৯
“যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং গোপনে ও প্রকাশ্যে যা কিছু আমি তাদের দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, তারা এমন এক ব্যবসার আশা করে যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”

🔹 এখানে সালাত কুরআন পাঠের সাথে সম্পৃক্ত, যা বোঝায় যে সালাত কেবল আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা নয়, বরং কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা।

সূরা আল-আলা ৮৭:১৪-১৫
“সফল সে-ই ব্যক্তি যে পবিত্র হলো, যে তার রবের নাম স্মরণ করল ও সালাত আদায় করল।”

📌 এই আয়াতে সালাত এবং আল্লাহর স্মরণের (যিকির) সম্পর্ক দেখানো হয়েছে, যা মূলত অহীর সাথে সংযুক্ত থাকারই একটি রূপ।

9. সালাত মানে অহীর আলোকে দিন ও রাতের অনুশীল

সূরা আল-মুজাম্মিল ৭৩:১-৬, ৭৩:২০
“হে আবৃত মানুষ! তুমি রাত জাগো সালাতে—কখনো অর্ধেক, কখনো একটু কম, কখনো একটু বেশি। এবং কুরআন ধীরস্থিরভাবে পাঠ করো। নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতি এক গুরুগম্ভীর বাণী নাযিল করব। নিশ্চয়ই রাতের সালাত অধিক দৃঢ়সংযোগকারী ও স্পষ্ট উচ্চারণকারী।”

📌 এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, সালাত শুধু দণ্ডায়মান হওয়ার বিষয় নয়, বরং এটি কুরআনের অহী পাঠ ও চর্চার সাথে সংযুক্ত থাকার একটি মাধ্যম।

10. সালাত মানে আনুষ্ঠানিক ইবাদত, দাঁড়ানো (কিয়াম), রুকু-সিজদা, তাসবিহ করা:

  • "তারা কুরআন শ্রবণ করলে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং কেঁদে ফেলে।" (সূরা বনি ইসরাঈল ১৭:১০৭, ১৭:১০৯)

  • "যদি তুমি তাদের মাঝে থেকে সালাত কায়েম করো, তবে তাদের একদল যেন তোমার সাথে দাঁড়ায়. . . " (সূরা আন-নিসা ৪:১০২)

  • "তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রুকু করো।" (সূরা আল-বাকারা ২:৪৩)

৮. সালাত মানে নির্ধারিত সময়ের ইবাদত:

  • "নিশ্চয়ই সালাত হলো মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে অবধারিত।" (সূরা আন-নিসা ৪:১০৩)

৯. সালাতে দাঈমুন থাকা (সর্বদা অহীর সংযোগে থাকা):

  • যারা তাদের সালাতে সর্বদা মনোযোগী থাকে।" (সূরা আল-মাআরিজ ৭০:২৩), (আরও দ্র: ২৩:১-১১) 

  • 👉 "দায়েমুন" শব্দের অর্থ নিয়মিততা, স্থায়িত্ব এবং ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ, তারা সালাতকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিয়েছে—কখনও তা ত্যাগ করে না বা অবহেলা করে না।

তারা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর সালাত করেই ক্ষান্ত হয় না; বরং যথাযথভাবে, একাগ্রতা ও বিনয়ের সাথে তা পালন করে এবং অনুশীলণের  মাধ্যমে তা প্রমাণ করে: ( দ্র: ২৩:১-১১) 

১০. সালাত মানে মুসল্লি হিসাবে অসহায়-দরিদ্রদের সাহায্য করা:

  • "তুমি কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছ, যে দীনের সত্যতা অস্বীকার করে? সে তো ইয়াতীমকে ধাক্কা দেয় এবং মিসকিনকে আহার দিতে উৎসাহিত করে না।" (সূরা আল-মাউন ১০৭:১-৬)

  • "যারা তাদের সালাতে মনোযোগী এবং তাদের সম্পদে অভাবীদের জন্য হক রাখে।" (সূরা আল-মাআরিজ ৭০:২২)

সার-সংক্ষেপ:

আল কোরআনে সালাত শুধুমাত্র নামাজ নামে আনুষ্ঠানিক রীতিনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন, কুরআনের অহীর চর্চা, আত্মশুদ্ধি, দরিদ্রদের সহায়তা এবং সার্বিকভাবে একটি দ্বীন প্রতিষ্ঠার অনুশীলন। আল কোরআনের আলোকে সালাতের প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে হলে কেবল বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতার দিকে মনোযোগ না দিয়ে এর গভীর অর্থ ও কার্যকারিতার দিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক।

📌 সালাতের প্রকৃত চর্চা মানে হচ্ছে সার্বক্ষণিক কুরআনের শিক্ষা অনুশীলন করা ও তার আলোকে জীবন পরিচালনা করা।

━━━━━━━━ ━━━━━━━━

মুসল্লি বিষয়ে আরও একটু বিস্তারিত:

📌 মুসল্লি কাকে বলেকে বা কারা মুসল্লি?

মুসল্লি শব্দটি এসেছে "সালাত" থেকে। আল কুরআনে মুসল্লি বলতে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর সালাত আদায়কারীদের বোঝানো হয়নি। কুরআন স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছে যে প্রকৃত মুসল্লি বরং তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু গুণাবলি থাকতেই হবে।


 যারা নামায পড়েকিন্তু  মুসল্লি নয়:

💡 "সুতরাং দুর্ভোগ মুসল্লিদের জন্য— যারা তাদের সালাতে উদাসীন। যারা লোক দেখিয়ে ইবাদত করে এবং সাধারণ উপকরণে কার্পণ্য করে।" যারা  🔻

📖 (সূরা আল-মাউন ১০৭:-সংক্ষিপ্তসার:

  • তারা ইয়াতিমদের প্রতি কঠোর আচরণ করে।
  • মিসকিনদের খাদ্যদানে উৎসাহিত করে না।
  • তারা সালাতের ব্যাপারে উদাসীন।
  • লোক দেখানো ইবাদত করে।
  • প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে কার্পণ্য করে।

  • এহেন কর্মকান্ড দ্বীনকে মিথ্যাপ্রতিপন্নকারীদের বৈশিষ্ট্য

📖 (সূরা আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪৩-৪৭সংক্ষিপ্তসার:

  • তারা বলবে, "আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।"
  • মিসকিনদের খাওয়াত না।
  • অহেতুক সমালোচনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
  • কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করত।
  • মৃত্যু আসার পরই বাস্তবতা উপলব্ধি করল।
    (সূরা আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪৩-৪৭)

📖 (সূরা আল-ফাজর ৮৯:১৭-২০সংক্ষিপ্তসার:

🔻  ইয়াতিমদের সম্মান করা হয় না।

🔻 দরিদ্রদের খাদ্যদানে উৎসাহ দেওয়া হয় না।

🔻 উত্তরাধিকার সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা হয়।

🔻 সম্পদের প্রতি তীব্র আসক্তি রয়েছে। 

✨ প্রকৃত মুসল্লিদের বৈশিষ্ট্য ✨ 📖সূরা আল আল-মাআরিজ ৭০:১৮-৩৪)

তারা সম্পদ জমা না করে এবং তা সংরক্ষণ না করে, কল্যাণপ্রাপ্ত হলে কৃপণতা না করে  (সূরা আল-হুমাযাহ ১০৪:২-৩, ৯:৩৪) বরং    

🔹 সালাতে সর্বদা নিয়মানুবর্তী

🔹 তাদের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ থাকে
🔹 কর্মফল দিবসে বিশ্বাসী
🔹 আল্লাহর শাস্তির বিষয়ে সর্বদা ভীত থাকে
🔹 যৌন সংযম রক্ষা করে এবং বৈধ সম্পর্কের বাইরে কিছু কামনা করে না
🔹 Amanat ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সতর্ক
🔹 সাক্ষ্যের ব্যাপারে সত্যনিষ্ঠ
🔹 সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল

💡 প্রকৃত মুসল্লিরা কেবল নামাজ আদায় করে নাবরং তারা নৈতিকসামাজিক  আর্থিক দায়িত্বও পালন করে। এদের জন্যই রয়েছে পরকালে সফলতার প্রতিশ্রুতি।


📌 ঈমানদারদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতেও দানের শর্ত জুড়ে দেয়া আছে:

🔹ওহে যারা ঈমান এনেছ! জুমুআর দিনে যখন সলাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। সেটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।" (সূরা আল-জুমুআহ ৬২:৯)

 🔹কোনো দাসমুক্তি, অথবা অভাবের দিনে খাদ্যদান, নিকটাত্মীয় কোনো ইয়াতিমকে, অথবা হতদরিদ্র মিসকিনকে। তারপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়, যারা ঈমান আনে ও পরস্পরকে ধৈর্যধারণের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে উদারতার উপদেশ দেয়। তারাই ডানদিকের দল।" (সূরা আল-বালাদ ৯০:১৩-১৮)

🔹নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তবে যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্যধারণের উপদেশ দেয়।" (সূরা আল-আছর ১০৩:৩)


উপসংহার:

ঈমানদাররা আল্লাহর স্মরণে সদা সচেতন থাকে, সালাত ও সৎকর্মে নিয়োজিত থাকে। তারা দরিদ্র, ইয়াতিম, এবং মিসকিনদের সহায়তা প্রদান করে, একে অপরকে ধৈর্য এবং উদারতার সাথে সহযোগিতা দেয় এবং এভাবেই তারা "ডানদিকের দল" হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে।

Powered by Blogger.