দু'আ: অসুস্থতায় কে দেন আরোগ্য? মিল্লাতে ইবরাহীমের আদর্শে এক অনন্য কুরআনিক দু'আ মুত্তাকীদের জন্য।

আমি যখন অসুস্থ্য হই তখন তিনিই আমাকে সুস্থ্য করে তোলেন! –মিল্লাতে ইবরাহীমের আদর্শে মুত্তাকীদের জন্য এক শক্তিশালী দু'আ।

দুআ: ভিডিও নিচের দিকে দ্র:


১. আরোগ্যদাতা একমাত্র আল্লাহ (আশ-শাফী): দুআ:

رَبَّ ٱلْعَـٰلَمِينَ (٧٧)

ٱلَّذِى خَلَقَنِى فَهُوَ يَهْدِينِ (٧٨)

وَٱلَّذِى هُوَ يُطْعِمُنِى وَيَسْقِينِ (٧٩)

وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ (٨٠)

وَٱلَّذِى يُمِيتُنِى ثُمَّ يُحْيِينِ (٨١)

وَٱلَّذِىٓ أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِى خَطِيٓـَٔتِى يَوْمَ ٱلدِّينِ (٨٢)۞

রব্বাল ‘আ-লামীনা! (৭৭)

আল্লাযী খলাক্বনী ফাহুওয়া ইয়াহ্দীন্ (৭৮)

অল্লাযী হুওয়া ইয়ুত্ব‘ইমুনী অইয়াস্ক্বীন্ (৭৯)

অ ইযা-মারিদ্ব্তু ফাহুওয়া ইয়াশ্ফীন্ (৮০)

অল্লাযী ইয়ুমীতুনী ছুম্মা ইয়ুহ্য়ীন্ (৮১)

অল্লাযী আত্বমা‘উ আইঁ ইয়াগ্ফিরালী খাতীআতী ইয়াওমাদ দীন্ (৮২)

    ~*~*~*~    ~*~*~*~    ~*~*~*~   ~*~*~*~

(তিনি) জগতসমূহের রব! (৭৭)

যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন। (৭৮)

এবং তিনিই, যিনি আমাকে খাদ্য দান করেন ও পানীয় দেন। (৭৯)

আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (৮০)

আর তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন। (৮১)

আর আমি আশা করি যে, তিনিই বিচার দিবসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন। (৮২)

(আল কুরআন, সূরা আশ-শু'আরা, আয়াত: ২৬:৭৭-৮২ (see for more (30:40)

🔖 আল্লাহর গুণবাচক সিফাত স্মরণপূর্বক যিকির:
 سُبۡحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿٪۴۰
সুবহানাহু ওয়া তা’লা আম্মা ইউশরিকুন!-৩০:৪০

তারা যা শিরক করে সেক্ষেত্রে পবিত্রতা তাঁর এবং তিনি হলেন সুঊচ্চ-30:40


২. আল কুরআন নিজেই এক শিফা (আরোগ্য):

কেবল শারীরিক আরোগ্যই নয়, পবিত্র কুরআনকে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের জন্য 'শিফা' বা আরোগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি অন্তরের ব্যাধি, মানসিক অস্থিরতা এবং আধ্যাত্মিক শূন্যতা থেকে মুক্তির মহৌষধ।

وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ

"আর আমি কুরআন থেকে এমন কিছু নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা (আরোগ্য) ও রহমত..." (সূরা আল-ইসরা, ১৭:৮২) 

অন্যত্র আল্লাহ বলেন:

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ


অর্থ: "হে মানবসকল, তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরের ব্যাধির জন্য আরোগ্য, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।"
(সূরা ইউনুস, ১০:৫৭)

কুরআনের তিলাওয়াত, এর অর্থ অনুধাবন এবং এর নির্দেশিত পথে জীবনযাপন আমাদের আত্মিক প্রশান্তি ও মানসিক সুস্থতা দান করে।

৩. অসুস্থতায় ধৈর্য ও আল্লাহর স্মরণ:

ইসলাম অসুস্থতাকে একটি পরীক্ষা এবং গুনাহ মাফের কারণ হিসেবে দেখে। অসুস্থ অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা'আলা ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য উত্তম প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অসুস্থতা আমাদের আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার একটি সুযোগ করে দেয়। এই সময়ে কৃত দু'আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

بَّہٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۳
এবং আইয়ূব, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, নিশ্চয়ই আমি, আমাকে দুঃখ—কষ্ট স্পর্শ করেছে। আর আপনিই দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু-21:83

      ─── 。゚: *. .* :. ───

🔗 দুআ লিংক: সূরা আর রূম ৩০:৪০

আল্লাহ! যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদেরকে রিযিক দিয়েছেন, তারপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন, তারপর তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্য থেকে কি কেউ সেগুলো থেকে কোনো কিছু করে? তারা যা শিরক করে সেক্ষেত্রে পবিত্রতা তাঁর এবং তিনি হলেন সুঊচ্চ-সূরা আর রূম ৩০:৪০

━━━━

এই আয়াতগুলো আমাদের শিক্ষা দেয় যে, জীবনের প্রতিটি অবস্থায়, সুখে-দুঃখে, সুস্থতায়-অসুস্থতায়, আমাদের একমাত্র ভরসা ও আশ্রয়স্থল হলেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তাঁর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং তাঁর নির্দেশিত পথে জীবনযাপনই ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির চাবিকাঠি।


رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


রব্বানা- তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস্ সামী‘উল ‘আলীম।

"হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ"- আয়াত 2:127

দুআ: ভিডিও






Powered by Blogger.